1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আগুনে পোড়া চিকিৎসা

১৬ ডিসেম্বর ২০১২

শুনে মনে হবে গল্প৷ কিন্তু জার্মানিতে সত্যিই আগুনে পোড়া মানুষদের এমন চিকিৎসা হচ্ছে যে এক পর্যায়ে শরীর যে পুড়েছিল দেখে বোঝাই যায়না!

https://p.dw.com/p/173Kw
ছবি: DW

পুড়ে যাওয়া মুখ জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ৷ কেই বা চায় সেই জীবন! কিন্তু দুর্ঘটনা তো বলেকয়ে আসেনা৷ যদি ঘটেই তাহলে ধাক্কা সামলে আবার স্বাভাবিক নিয়মে জীবনযাপন করাই উত্তম৷ প্রশ্ন হলো, আগুনে দগ্ধ শরীর নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন কতটা সম্ভব? বাংলাদেশ তো বটেই, উন্নত অনেক দেশেরও অগ্নিদগ্ধ মানুষরা বলবেন – কখনোই নয়! তাঁদের সঙ্গে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের ট্রমা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া কোনো রোগীর মত কখনোই মিলবে না৷ আগুনে পোড়ার যন্ত্রণা এক হলেও চিকিৎসার ফলাফল তো অন্যরকম, মতের মিল হবে কী করে!

বার্লিনের ওই হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে পুড়ে যাওয়া শরীর কেমন দেখায় রেজিনাল্ড রথবার্থ এবং পেগি রথবার্থকে দেখলে সেটা খুব ভালো বুঝতে পারবেন৷ ২০০৯ সালে জার্মান এই দম্পতি সার্ডিনিয়াতে গিয়েছিলেন বেড়াতে৷ এক রাতে গ্যাস পাইপ ছিদ্র হওয়ায় আগুন লেগে যায় অ্যাপার্টমেন্টে৷ বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বেরোনোর আগেই পেগি আর রেজিনাল্ডের শরীরের ৫০ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে যায়৷ প্রাথমিক চিকিৎসা চলে ইতালিতে৷ তারপর রথবার্থ দম্পতি চলে আসেন বার্লিনের ট্রমা হাসপাতালে৷ ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারায় পেগি নিজেকে এখন ভাগ্যবতী মনে করেন৷ দেখে কে বলবে আগুনে তাঁর মুখ, গলা, হাত, পেট আর বুক পুড়ে গিয়েছিল! এখন একেবারে স্বাভাবিক মানুষের মতো কাজ করছেন পেগি৷ হাতটা পুরোপুরি না সারায় রেজিনাল্ড অবশ্য এখনো অফিসে যেতে পারছেন না৷ তবে কিছুদিন পর যে পারবেন সে বিষয়ে তাঁরও কোনো সন্দেহ নেই৷

ভাবছেন জার্মান ডাক্তাররা কি জাদু জানেন? পুরো ব্যাপারটা জাদুর মতোই৷ তবে জাদুটা প্রথমে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতে৷ ২০০২ সালে বালিতে বোমা হামলার শিকার অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের চিকিৎসা করতে ডা. ফিওনা উড উদ্ভাবন করেছিলেন দারুণ এক উপায়৷ রোগীর শরীরের কোষ নিয়ে সেই কোষ পোড়া জায়গায় স্প্রে করে দেখেছিলেন আস্তে আস্তে স্প্রে করা কোষ নিয়ে নেয় শরীর৷ পোড়া জায়গা হয়ে যায় প্রায় আগের মতোই৷ অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় কিন্তু এমন সুফল পাওয়া অসম্ভব৷ বার্লিনের ট্রমা হাসপাতাল অস্ট্রেলিয়ার সার্জনকেও পেছনে ফেলেছে৷ এখানে একটা বিশেষ উপায়ে কোষ স্প্রে করলে দেড় থেকে দু'ঘণ্টার মধ্যেই পোড়া জায়গায় নতুন কোষ মোটামুটি লেগে যায়৷ পুরোপুরি সারতে যদিও আরো কিছুদিন লাগে, তবু এইটুকুও কি জাদু নয় বলুন!

সিনামন নিপার্ড/এসিবি/ ডিজি (ডিডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য