1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একজন সৎ মানুষের কথা

আরাফাতুল ইসলাম৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দুর্নীতির সূচকে ধারাবাহিকভাবে উপরের দিকে রয়েছে যে দেশ, সেদেশেই এক সৎ মানুষের সন্ধান দিয়েছে এক পত্রিকা৷ এমন নয় যে, সৎ তিনি একাই৷ অবশ্যই আরো অনেকে আছেন, তবে তিনি অনেকর কাছেই উদাহরণ৷

https://p.dw.com/p/1HqQR
Bangladesh Munir Chowdhury
ছবি: Privat

বলছি মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর কথা৷ সাপ্তাহিক পত্রিকা তাঁকে আখ্যা দিয়েছে ‘সাহস আর সততা'-র প্রতীক হিসেবে৷ সরকারি এই কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সচিব৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির কারণ নিয়ে বিভিন্ন কথা৷ এই কর্মকর্তা মনে করেন, একসময় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয় ছিল, জবাবদিহিতা ছিল৷ এখনও তা থাকলেও মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে, যা তাদের দুর্নীতির দিকে আকৃষ্ট করছে৷

একজন সৎ সরকারি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার

বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সর্বশেষ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে চোদ্দনম্বরে৷ দুর্নীতি দেশটির প্রায় সর্বত্র, এমন দাবি গণমাধ্যমের৷ এরকম এক পরিবেশে কিভাবে সততার প্রতীক হয়ে উঠছেন চৌধুরী? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত লোভ, লালসাকে দমন করে চলা৷ এটা এক বড় নৈতিক শক্তি৷ আমি কোনোভাবেই প্রলোভনে পা দেবো না৷''

নিজের জীবনকে কম ভোগ করে দেশ ও জাতিকে সেবা দেয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন চৌধুরী৷ তাঁর মতে, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যে বেতন কাঠামো, তা দিয়ে দুর্নীতি না করে, ঘুস না খেয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব৷ এ জন্য প্রয়োজন মোহ থেকে দূরে থাকা৷ বিলাসিতা, প্রাচুর্য্য, অপচয়ের সুযোগ নেই এই বেতনে, মনে করেন তিনি৷

বাংলাদেশে দুর্নীতি কমাতে সচেতনতা সৃষ্টির দিকেও গুরুত্ব দিতে চান এই সরকারি কর্মকর্তা৷ তিনি জানান, আইন প্রয়োগ করে বা আইনকে চাপিয়ে দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যাবে না৷ ‘‘ব্যক্তি ইচ্ছা, ব্যক্তি আচরণ, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং সবচেয়ে হলো নিজের ভেতরের আত্মসুদ্ধি, সেটা যখন আমরা আনতে পারবো, দুর্নীতি কমে যাবে'', বলেন তিনি৷

মুনীর চৌধুরীর কাছে আপনি কি কিছু জানতে চান? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য