আইএস জঙ্গিদের সন্তানকে ফেরত আনবে বার্লিন
৩ ডিসেম্বর ২০১৭সিরিয়াতে তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দিয়েছে বেশ কয়েকজন জার্মান নাগরিক৷ এদের কয়েকজনের স্ত্রী ও সন্তান বর্তমানে ইরাকে বন্দি অবস্থায় রয়েছে৷ জার্মান দৈনিক স্যুডডয়চে সাইটুং ও পাবলিক ব্রডকাস্টার এনডিআর ও ভিডিআর-এর সূত্রমতে, এ সব শিশুদের জার্মানিতে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই ইরাকের সহযোগিতা চেয়েছে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও মানবিকতার বিচারে এদের ফিরিয়ে আনতে চায় জার্মানি৷
সংবাদে জানানো হয়, কূটনীতিকরা কারাবন্দি জার্মান পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে এ সব শিশুদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানায় বন্দি মায়েরা৷ অবশ্য এখনো ইরাকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷
আইএস বাহিনীর কবল থেকে ইরাকের বিভিন্ন এলাকা উদ্ধারের পর, আটক করা হয় জঙ্গি পরিবারের এ সব নারীও শিশুদের৷ আইএস-এর প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে পালিয়ে আসা পরিবারের সাথে সিরিয়াতে পৌঁছায় অনেক শিশু, আবার অনেকে জন্ম নিয়েছে সিরিয়াতেই৷ যেসব শিশু সিরিয়াতে আইএস অধ্যুষিত এলাকায় জন্ম নিয়েছিল, আইএস-এর পক্ষ থেকে তাদের জন্মসনদ দেয়া হয়েছিল, যদিও পরিবারের সূত্রে তারা জার্মান নাগরিক৷
পরিসংখ্যান মতে, জার্মানি থেকে যে ৯৪০ জন আইএস-এ যোগ দিতে সিরিয়া বা ইরাকে পালিয়ে যায়, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরই রয়েছে জার্মান নাগরিকত্ব৷
তবে এ সব শিশুদের জার্মানিতে ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্য বিপদের দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ রিপোর্টে জানানো হয়, একেবারে ছোট শিশুরা ‘ট্রমার' শিকার হলেও যেহেতু আদর্শগতভাবে প্রভাবিত নয়, তাই তাদের নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও অপেক্ষাকৃত বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হান্স-গেয়র্গ মাসেন বলেন, আইএস যোদ্ধাদের সন্তানরা যেহেতু কট্টর ইসলামি চিন্তাধারায় বেড়ে উঠেছে, তারা জার্মান সমাজের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে৷ অর্থাৎ জার্মানির মাটিতেই ‘জিহাদিদের নতুন এক প্রজন্ম তৈরি হতে পারে'৷
আরএন/ডিজি
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷