অ্যামেরিকায় সেনেট দখলের রুদ্ধশ্বাস লড়াই
১০ নভেম্বর ২০২২মধ্যবর্তী নির্বাচনে দলকে জেতাতে পারেননি বাইডেন। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে। তবে রয়টার্স জানাচ্ছে, চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, তার জন্য এখনো কিছুটা সময় লাগবে। সেনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই দলই ৪৮টা করে আসন পেয়েছে। কে এখানে গরিষ্ঠতা পাবে, তা স্পষ্ট হয়নি। তিনটি আসনের ফল আসা বাকি।
এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিনটি খুব উল্লেখযোগ্য কথা বলেছেন। হো.য়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, রিপাবলিকানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি জানিয়েছেন, ''অ্যামেরিকার ভোটদাতারা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রিপাবলিকানদেরও আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে।''
বাইডেন বলেছেন, তিনি ২০২৪-এ আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। আগামী বছরের গোড়ায় তিনি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাইডেনের দাবি, যেরকম লাল-ঝড় হবে বলা হচ্ছিল, সেরকম হয়নি। রিপাবলিকান পার্টির রং হলো লাল। তাই লাল ঝড় মানে রিপাবলিকানদের বিপুল জয়।
রয়টার্স জানাচ্ছে, ফলাফলের বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ৪০ বছরে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতির জন্য ভোটদাতারা বাইডেনকে শাস্তি দিয়েছেন ঠিকই, আবার তারা রিপাবলিকানদেরও বুঝিয়ে দিয়েছেন, গর্ভপাত-বিরোধী নীতি, ভোট-গণনার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে তারা মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না।
ডনাল্ড ট্রাম্প যাদের সমর্থন করেছিলেন, তারা অনেকেই হেরেছেন। ফলে ট্রাম্প ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
৭৫ বয়সি ভোটদাতা ইভন ল্যাংডন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো তার ইগো।
বাইডেন বলেছিলেন, মঙ্গলবারের নির্বাচন হলো মার্কিন গণতন্ত্রের বড় পরীক্ষা। আর ট্রাম্প বলেছিলেন, ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল চুরি করা হয়েছিল। যারা ট্রাম্পের দাবিকে সমর্থন করে ভোটে লড়েছেন, তাদের অনেকেই হেরেছেন। আর যারা এর বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের অনেকে জিতেছেন।
বাইডেন বলেছেন, ''আমি বিশ্বাস করি আজ গণতন্ত্রের পক্ষ শুভদিন।''
রিপাবলিকানরা কী করবেন
রিপাবলিকানরা যদি সেনেটের নিয়ন্ত্রণ পান, তাহলে তারা বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক পদে বাইডেনের প্রার্থীদের খারিজ করতে পারবেন। তাই তারা সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের পিছনে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাইছেন।
রিপাবলিকানরা যদি দুই কক্ষের নিয়ন্ত্রণ পান, তাহলে সামাজিক সুরক্ষা, মেডিকেয়ার সেফটি-নেট প্রকল্পে অর্থ ছাঁটাই করতে বলবেন। সেই সঙ্গে ২০১৭ সালের স্থায়ী কর ছাঁটাইয়ের আইন আবার করতে বলবেন। এই বছর আগের আইনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।
তারা বিভিন্ন খাতে খরচ কমাবার দাবি তুলবেন। এর ফলে ইউক্রেনকে অর্থসাহায্য করার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে পারেন বাইডেন।
এমনিতে যে দলের প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে থাকেন, তারা মধ্যবর্তী নির্বাচনে খারাপ ফল করে। কিন্তু রিপাবলিকান নেতা রব জেসমার বলেছেন, ''আমরা ততটা ভালো ফল করতে পারিনি।''
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকায় মার্কিন শেয়ার বাজারও পড়েছে।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, এএফপি)