অ্যামেরিকায় অজানা উড়ন্ত বস্তুকে ধ্বংস করা হলো
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে এই অজ্ঞাত জিনিসটিকে যুদ্ধবিমান এফ ১৬ থেকে গুলি করে ধ্বংস হয়।
সপ্তাহখানের আগে চীনা বেলুন দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর গত সাতদিন ধরে অ্যামেরিকা ও ক্যানাডায় চারটি এই ধরনের জিনিসকে গুলি করে নামানো হলো। দুইটি নামানো হয়েছে ক্যানাডায়।
অনেক মার্কিন নাগরিক গত কয়েকদিন ধরে হয় আকাশের দিকে তাকিয়ে অজানা বস্তুটিকে খুঁজেছেন বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখে দেখেছেন, কীভাবে তা গুলি করে নামানো হয়েছে।
তবে প্রথম বেলুনটির ক্ষেত্রেই মার্কিন অভিযোগ ছিল, চীন নজরদারির জন্য তা পাঠিয়েছে। বেজিং অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তারপরের তিনটি জিনিস সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। কোন দেশ থেকে তা পাঠানো হয়েছে তাও বলা হয়নি।
মার্কিন প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, বাইডেন চূড়ান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে অজ্ঞাত জিনিসটিকে গুলি করে নামানোর নির্দেশ দেন।
নামপ্রকশে অনিচ্ছুক ওই উচ্চপদস্থ অফিসার বলেছেন, ওই আটকোণা জিনিসটি নজরদারি করছিল এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও তা গুলি করে নামানোর কারণ হলো, অজানা জিনসটি উড়ছিল ২০ হাজার ফুট উপর দিয়ে। ফলে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
রোববার অল্প সময়ের জন্য লেক মিশিগানের উপর দিয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তখনই ওই অজানা জিনিসটিকে গুলি করা নিচে নামানো হয়।
অজ্ঞাত জিনিসটিকে রাডার দিয়ে ট্র্যাক করা হয়। তারপর তা গুলি করে লেকের জলে ফেলা হয়।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা মাইকেল ম্যাককল বলেছেন, চীন এভবে নজরদারি চালাচ্ছে। তারা অ্যামেরিকার পরমাণু প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সব তথ্য জানতে চাইছে। এভাবে তারা অ্যামেরিকাকে উসকানিও দিচ্ছে।
মার্কিন সেনেটর চাক স্কুমার বলেছেন, ক্যানাডায় যে দুইটি জিনিসকে গুলি করে নামানো হয়েছে, সেটাও বেলুনই ছিল। তবে প্রথম বেলুনের তুলনায় তা আকারে ছোট ছিল।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)