অ্যামেরিকার স্কুলে নারী বন্দুকধারীর হামলা, মৃত ছয়
২৮ মার্চ ২০২৩সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে অ্য়ামেরিকার ন্যাশভিল শহরে। আক্রমণকারী নারীর কাছে দুইটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীও পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।
স্কুলের নকশা ছিল
আক্রমণকারী নারীর কাছে ওই স্কুলের পুরো নকশা ছিল। হাতে আঁকা ওই নকশায় কোথা দিয়ে স্কুলে ঢোকা যায় তা দেখানো ছিল। ওই নারীর পরিচয় কী, পুলিশ এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এই কনভেন্ট স্কুলে প্রিস্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হয়। প্রায় দুইশ ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়ে। যে তিনজন পড়ুয়া গুলিতে মারা গেছে, সকলের বয়স নয় বছর। এছাড়া স্কুলের তিনজন কর্মীও মারা গেছেন।
ন্যাশভিলের পুলিশ প্রধান জন ড্রেক বলেছেন, ''বাচ্চাদের দেখে আমি চোখের জল সামলাতে পারিনি।'' তিনি জানিয়েছেন, ''আক্রমণকারী নারী ওই স্কুলেরই ছাত্রী ছিল। তার কাছে কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই দিনের সঙ্গে ও স্কুলের কোনো ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগ ছিল কি না, তাও দেখা হচ্ছে।''
শহরের মেয়র জন ড্রেক বলেছেন, খুবই দুঃখের ঘটনা। পুরো শহর শোকপালন করছে।
বাইডেনের আবেদন
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন কংগ্রেসকে বলেছেন, ''এবার অন্তত অস্ত্র আইন কড়া করা হোক।'' বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, ''আর কতজন বাচ্চাকে এভাবে হত্য়া করা হবে, তারপর রিপাবলিকানরা উদ্য়োগী হবে এবং অ্যাসল্ট অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।''
কে-২ স্কুল ডেটাবেস জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে এখনো পর্যন্ত ৮৯ বার অ্য়ামেরিকার স্কুলে গুলি চলেছে। যখনই কোনো স্কুল চত্বরে গুলি চলে, তখনই তা স্কুলে গুলির ঘটনা বলে চিহ্নিত করে এই সংস্থা।
গতবছর ৩০৩ বার স্কুলে গুলি চলেছিল। ১৯৭০ সাল থেকে এই সংস্থা হিসাব রাখছে। তাদের হিসাব বলছে, গতবছর সবচেয়ে বেশি স্কুলে গুলির ঘটনা ঘটেছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)