শরণার্থীদের দুরবস্থা
২৪ মে ২০১৩সংস্থাটি বলছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ সংঘাত ও নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচবার প্রচেষ্টায় কিংবা কর্মসংস্থানের আশায় দেশ ছাড়ছেন এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা৷ ‘‘সংঘাতের পরিস্থিতিগুলির সঠিক সমাধান না হওয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী এক সর্বহারা শ্রেণি সৃষ্টি হচ্ছে,'' বলেছেন অ্যামনেস্টির সাধারণ সম্পাদক সলিল শেট্টি৷ এক্ষেত্রে তিনি সিরিয়া, মালি, সুদান, কঙ্গো ও উত্তর কোরিয়ার উদাহরণ দেন৷
শেট্টি বিশেষ করে সিরিয়া সংঘাতে আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন৷ ‘‘যারা সংঘাত থেকে পালাচ্ছে, তাদের অধিকার সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থাই নেই,'' বলেছেন শেট্টি৷ ‘‘বহু দেশের সরকার অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের নামে মানবাধিকার ভঙ্গ করছেন - বৈধ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন৷''
অ্যামনেস্টির রিপোর্টে ২০১২ সালের কিছু ঘটনার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে: আফ্রিকা থেকে ইউরোপ অভিমুখী শরণার্থীদের ডুবন্ত নৌকাকে ইটালির উপকূল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কেননা ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহের কাছে সীমান্ত রক্ষাই অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে৷ ইউরোপীয় কমিশন অবশ্য এর জবাবে বলেছে, ইউরোপ সারা বিশ্বের রাজনৈতিক প্রার্থীদের ৩০ শতাংশকে আশ্রয় দিয়ে থাকে৷
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে গ্রিসের নতুন অভিবাসন আইনের কড়াকড়ির সমালোচনা করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, গ্রিস এবং ইটালি, দু'টি দেশেই অভিবাসী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করা হয়, যার কারণ হিসেবে অ্যামনেস্টির সাধারণ সম্পাদক সলিল শেট্টি হালের অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলেছেন৷
অভিবাসনের ফলে আরেক ধরনের মানবাধিকার ভঙ্গের উদাহরণ হলো উপসাগরীয় দেশগুলি৷ এই সব দেশে বিদেশ থেকে আগত কর্মীদের দুরবস্থার কথা বলা হয়েছে অ্যামনেস্টির রিপোর্টে৷ যে সব দেশের সরকারদের বিরুদ্ধে বহিরাগত গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে হংকং, জর্ডান,লেবানন ও কুয়েত৷
এসি / জেডএইচ (ডিপিএ, এপি, এএফপি)