অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন
২৪ মে ২০১২এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে সেনেগালের রাজধানী দাকার'এ মানবাধিকার কর্মীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ বাহিনী৷ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে৷ তবে সেনেগাল একা নয় গত এক বছরে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে মানবাধিকার কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার৷ জিনিসপত্র এবং খাবারের দাম বাড়া, স্বৈরতন্ত্র হাত থেকে মুক্তি চাওয়া – এসব দাবিতে এবং প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ এবং বেশ শক্তভাবে তাদের দমন করা হয়েছে৷ কথাগুলো জানান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আফ্রিকা ডিরেক্টর এরউইন ভান ডের বর্ট৷
সমস্যা হচ্ছে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রতিবাদের জবাব দেয়া হয় বেশ অমানবিকভাবে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ এবং সবসময়ই পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে৷ তাই বলা যেতে পারে সাহারা অঞ্চলের দেশগুলোতে কর্তৃপক্ষের এসব মনোভাব বেশ তীব্র এবং তা হতাশাজনক৷ দেশের নাগরিকদের অধিকার আদায়, তাদের সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নিশ্চয়তা না দিয়ে, গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে – উল্টো মানুষদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷
এবং এ ধরণের ঘটনা সুদান থেকে শুরু করে সেনেগাল, অ্যাঙ্গোলা এবং জিম্বাবোয়ে পর্যন্ত বিস্তৃত৷ সব জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে রাস্তায় নামানো হয়েছে প্রতিবাদকারীদের দমন করতে৷ এর ফলে অনেক মানুষ মারা গেছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে বিচলিত হয়নি৷ এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে এরউইন ভান ডের বর্ট আরো বলেন, ‘‘আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে বেশ কিছু দেশের নেতারা কোন সমাধান আনতে সক্ষম হননি৷ কারণ মূল সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু তারা নিজেরাই৷''
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত কয়েক বছরে আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে৷ নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সোমালিয়ার আল-শাবাব এবং আল কায়েদা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে৷ আর এসব হামলার মূল লক্ষ্য সবসময়ই হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷ এদের কীভাবে দমন করা যায় সেই সমস্যার সমাধানও দিতে পারছেন না আফ্রিকার নেতারা৷
এছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে, বিশেষ করে ব়্যাবের হাতে নির্বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছে – তারও তীব্র সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
প্রতিবেদন: স্টেফানি ডুকস্টাইন/মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন