অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
১৫ জুলাই ২০১৪মঙ্গলবার সকালে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও ইসরায়েল সীমান্তে সপ্তাহ ধরে চলমান সংঘাতের সমাপ্তি টানার আহ্বান জানিয়েছে মিশর৷ রাজধানী কায়রোতে দুই পক্ষের শীর্ষ প্রতিনিধিদের বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর এই আহ্বান জানায় মিশর সরকার৷
তবে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতি করতে হলে আগে অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে৷ কায়রোতে আরব লিগভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক জরুরি বৈঠকের পর মিশরের পক্ষ থেকে এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়৷ প্রস্তাবে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং দুই পক্ষ কায়রোয় বসে বৈঠক করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাবে৷
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবারই মন্ত্রীদের সঙ্গে বসেন৷ ওই বৈঠকেই মিশরের প্রস্তাবে সম্মতি দেয়া হয়৷ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু'র অফিস সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সত্যতা নিশ্চিত করেছে৷
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মিশরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও গাজায় হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, ‘‘অস্ত্রবিরতির আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব নিয়ে মিশরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনাই হয়নি৷'' যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাত্র আধঘন্টা আগে তিনি জানান, ‘‘ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণ কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না৷'' এটাকে ‘উপহাস' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ ওসামা বলেন, ‘‘মিশরীয়রা ফিলিস্তিনিদের কোনঠাসা করে ইসরায়েলকে সাহায্য করতে চাইছে৷''
গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ৷ ইসরায়েলের দাবি, গত এক সপ্তাহে গাজা থেকে অন্তত এক হাজার রকেট তাদের এলাকায় ছোড়া হয়েছে৷ তবে হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি৷
তিন ইসরায়েলি কিশোর অপহৃত ও পরে নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাসকে দায়ী করে গত ৮ জুলাই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল৷ এরই মধ্যে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে পুড়িয়ে মারার পর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে৷ এক পর্যায়ে গাজা অঞ্চল থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল৷
এপিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)