1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেডারার-নাদাল এগোলেন

১৬ জানুয়ারি ২০১২

প্রথম রাউন্ডের খেলায় তাদের বেগ পাওয়ার কথা নয়৷ তবে ইনজুরি তো আছেই৷ ঠিক একই ভাবে এগিয়েছেন লি না অথবা কিম ক্লাইস্টার্স, মহিলা বিভাগে৷

https://p.dw.com/p/13kOE
রজার ফেডারারছবি: dapd

প্রথম রাউন্ডে একটা-দু'টো আপসেট দেখতে পেলে কোন টেনিসমোদী আর না মনে মনে খুশি হন৷ বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সী রজার ফেডারার যখন কাতার ওপেন থেকে পিঠের ব্যথা নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ মেলবোর্নে কিন্তু তাকে দেখা গেল যেন টেনিস ব়্যাকেট হাতে নিয়ে অস্ত্রোপচার করছেন৷ কোয়ালিফায়ার আলেক্সান্ডার কুদ্রিয়াৎসেভ'কে ৭-৫, ৬-২, ৬-২ গেমে বিদায় করলেন সাকুল্যে ৯৮ মিনিটে, রড লেভার এ্যারেনায়৷ কুদ্রিয়াৎসেভ বিশ্ব তালিকায় ১৭২৷ তবুও একবার তৃতীয় সেটে কামড়ে দাঁড়িয়েছিল, ৩-২ গেমে৷ এবং স্বয়ং ফেডারার'কে ভুরু কোঁচকাতে বাধ্য করেছিল৷ কিন্তু পরের গেমেই একটি বল নেটে ছুঁইয়ে ফেডারার'কে একটি সহজ ব্যাকহ্যান্ড উইনারের সুযোগ করে দেয় কুদ্রিয়াৎসেভ৷

যদিও এটা ফার্স্ট রাউন্ড, ২০১০ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বিজয়ী রজার ফেডারার যে এবার তার রেকর্ড সপ্তদশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ের দিকে এগোচ্ছেন না, সেটা কে বলবে? ফেডারারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল৷ রাফা'কে নিয়েও এবার চিন্তা ছিল, গত ডিসেম্বরে তার একটা কাঁধের ইনজুরির জন্য৷ ওদিকে সোমবার আলেক্স কুজনেৎসভ'কে ৬-৪, ৬-১, ৬-১ গেমে হারানোর পর রাফা জানালেন, হাঁটু সংক্রান্ত কি একটা ছোটখাটো অঘটনের জন্য নাকি তার কোর্টে নামাই প্রায় বাতিল হতে চলেছিল৷

Spanien Rafael Nadal Tennis Abu Dhabi
রাফায়েল নাদালছবি: dapd

নাদাল নাকি রবিবার হোটেলে একটা চেয়ারে বসে ছিলেন৷ হঠাৎ হাঁটু থেকে মট করে কি একটা শব্দ শোনেন, আর কিছু নয়৷ পরে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখেন, অবিশ্বাস্য যন্ত্রণা হচ্ছে, হাঁটু নাড়াতে পারছেন না৷ পরে গোটা রবিবার দুপুরটা কাটাতে হয় ট্রিটমেন্ট আর রিহ্যাবে৷ পরে এমআরটি করে দেখা যায় যে, তিনি সত্যিই সোমবার খেলতে পারবেন৷ এবং খেলতে নেমেও নাকি তিনি নার্ভাস ছিলেন৷ গোটা দশেক গেম খেলার পর তবেই তার আস্থা ফিরে আসে৷ এবং হাঁটুও নাকি কোনো গোলমাল করেনি৷ তবে আগামীতে কি ঘটতে পারে বা না পারে, সে ব্যাপারে স্বভাবতই নাদালের পক্ষে কোনো রকম ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়৷

ফ্রেঞ্চ ওপেন বিজয়িনী চীনের লি না বলেছেন যে, তার নাকি স্বামী তথা কোচ জিয়াং শান'এর কাছে এক ঘণ্টা কথা শুনলেই চলে৷ নয়তো ফিটনেস নিয়ে লি না'র কোনোকালে কোনো সমস্যা নেই৷ সোমবার মেলবোর্ন পার্কের ঐ অসহ্য গরমে উজবেকিস্তানের সেনিয়া পের্ভাক'কে ৬-৩, ৬-১'এ হারালেন লি না স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে৷ পরে লি নিজেই বলেছেন, ঐ গরমটা নিয়েই কিছুটা ঘামতে হয়েছে তাকে৷ অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটা অনেক টেনিস প্লেয়ারের কাছেই গরমের সঙ্গে যুদ্ধে পর্যবসিত হয়ে থাকে৷ ফার্স্ট সেটের পরে তার মনে হচ্ছিল, তিনি যেন দম নিতে পারছেন না, বলেছেন লি না৷

২০১১ সালে মহিলাদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন ক্লিম ক্লাইস্টার্স পর্তুগিজ কোয়ালিফায়ার মারিয়া জোয়াও কোয়েলার'কে হারান ৭-৫, ৬-১'এ৷ মেলবোর্ন, এর পর লন্ডন অলিম্পিকস৷ তারপরই নাকি অবসর নেবার কথা ভাবছেন ক্লাইস্টার্স৷ দশ দিন আগে ব্রিসবেনে কোমরে টান ধরে খেলা ছাড়তে হয়েছিল ক্লাইস্টার্স'কে৷ এবার কিন্তু তার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি৷ অবশ্য কিম বলেছেন, ঐ হিপ ইনজুরির ‘‘ইমোশান এবং স্ট্রেস'', দুই নিয়েই ভুগতে হয়েছে তাকে৷

তবে অস্ট্রেলিয়া যখন, তখন স্থানীয় দর্শক কিংবা মিডিয়া স্বভাবতই কোনো দেশবাসীকে পেলে, তাকে নিয়েই মাতবে৷ এক্ষেত্রে সেই দেশবাসী হল এক ১৯ বছরের তরুণ, নাম বার্নার্ড টমিচ, যে দু'সেটে পিছিয়ে থেকেও ২২ নম্বর বাছাই ফের্নান্দো ভের্দাস্কো'কে হারিয়েছে ৪-৬, ৬-৭, ৬-৪, ৬-২ এবং ৭-৫ গেমে৷ ভের্দাস্কো আবার ছিল ২০০৯ সালের সেমিফাইনালিস্ট৷ তবে তা'তে টমিচ'এর আস্থা যতোই বাড়ুক না কেন, সেই তোড়ে যে সে ১৯৭৬ সালের পর আবার প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতবে, এতটা আশা ডাউন আন্ডারে কেউই করছে না৷ অবশ্য টমিচ গতবছর উইম্বলডনে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল৷ সোমবারের ম্যাচ সম্পর্কে তার বক্তব্য, খেলাটা মজা নয়, স্রেফ টর্চার ছিল৷ দর্শকদের কল্যাণেই নাকি সে জিতেছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন