অভদ্র বলায় মারাদোনার জরিমানা
৩০ ডিসেম্বর ২০১১গত মে মাস থেকে দুই বছরের চুক্তিতে দুবাই ভিত্তিক আল ওয়াসল-এর কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফুটবল কিংবদন্তি মারাদোনা৷ কিন্তু গত মাসে স্থানীয় একটি খেলায় আল আইন দলের বিরুদ্ধে তাঁর দল হেরে যায়৷ এরপর আল আইন দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রা আনন্দ-উল্লাস করতে থাকলে মারাদোনা তাদের উল্লাসের ভঙ্গিমায় আহত হন৷ পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বেশ আক্রমণ করে বসেন আল আইন দলের কোচ কসমিন ওলারই'কে৷ মারাদোনা বলেন, ‘‘দলের বিজয়ে স্বয়ং কোচও যদি উল্লাস করতে থাকেন, সেক্ষেত্রেও বিপরীত দলের প্রতি আঘাত না করে আনন্দ করা যায়৷ আর উল্লাস করার কিছু ভব্যতা এবং ভালো পন্থা রয়েছে৷''
আপাতদৃষ্টিতে মারাদোনার এমন বক্তব্যে খুব অন্যায় কিছু ধরা না পড়লেও সংযুক্ত আরব আমিরাত - ইউএই'তে কাউকে ‘অভদ্র' বলাটা খুব বড় অপরাধ৷ আর সেখানেই ফেঁসে গেছেন কিংবদন্তি তারকা মারাদোনা৷ দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষ এই অপরাধে তাঁকে নয় হাজার দিরহাম তথা প্রায় আড়াই হাজার ডলার জরিমানা করেছেন৷ মারাদোনা জরিমানার শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছেন বটে, কিন্তু তিনি তাঁর সমালোচনার ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন৷ জরিমানার বিধান শোনার পর তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিক সম্মেলনে আমি সমালোচনা করার ধারা অব্যাহত রাখবো৷ ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এটা চালিয়ে যাবো যতক্ষণ না আমার ক্লাব আল ওয়াসল তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে৷''
এদিকে, ইউএই'র জাতীয় দলের কোচ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলে মারাদোনা তাদের প্রস্তাব গ্রহণে প্রস্তুত আছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷ গত সেপ্টেম্বরে লেবাননের কাছে ৩-১ গোলে ইউএই হেরে যাওয়ার পর স্লোভেনীয় কোচ স্রেকো কাটানেচকে বরখাস্ত করে ফুটবল কর্তৃপক্ষ৷ এরপর থেকেই তাদের জাতীয় দলের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে অনেকের নাম গণমাধ্যমে উঠে এসেছে৷ আর তাদের মধ্যে মারাদোনার নামও রয়েছে৷ এই প্রেক্ষিতেই নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করলেন মারাদোনা৷
তবে একইসাথে আর্জেন্টিনার মহাব্যবস্থাপক কার্লোস বিলার্ডোও মন্তব্য করলেন যে, তাঁদের গর্ব এবং জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারাদোনা চাইলে আবারও সেখানে ফিরে গিয়ে দলের দায়িত্ব নিতে পারেন৷ ফলে এখন মারাদোনার সামনে বেশ অনেকগুলো দ্বারই খোলা বলে মনে করছেন ফুটবল বোদ্ধারা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক