অলিম্পিকে সিজার
১০ জুলাই ২০১২২১ বছর বয়সি সিজার'এর বাবা কাজি আর মা রেজিনা আশির দশকে অ্যামেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ কাজি হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম সিজারিয়ান শিশু৷ তাই পরবর্তীতে তিনি নাম পরিবর্তন করে সিজার হয়ে যান৷
সেই প্রথম ‘সিজার'-এর ছেলেই হলেন জিমনাস্ট সাইখ সিজার৷ বর্তমানে তিনি পড়াশোনা করছেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গত বছর ডিসেম্বরে তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমনাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ্স'-এ বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন৷ সেখানে একটি সোনাও জিতেছিলেন তিনি৷ সেটাই ছিল জিমনাস্টিক্স'এ বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সোনা জয়৷
সিজার'এর এই সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন লন্ডন অলিম্পিক'এর জন্য সিজারকে মনোনীত করে৷ বলা বাহুল্য, এর আগে জিমনাস্টিক্স'এ বাংলাদেশের হয়ে অলিম্পিকে কেউ অংশ নেয়নি৷
এ প্রসঙ্গে সিজার বলেন, ‘‘অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি দারুণ খুশি৷ কেননা প্রত্যেক জিমনাস্ট'এরই স্বপ্ন থাকে অলিম্পিক'এ খেলার৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার অলিম্পিক'এ অংশ নেয়ার খবর শুনে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ও শিক্ষকরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷''
সিজার বলেন, তাঁর বাবা খুব ভালো ফুটবল খেলতেন৷ কিন্তু তিনি চাইতেন তাঁর ছেলে অন্য কোনো খেলা খেলুক৷
সাইখ সিজার'এর কথায়, তাঁর বয়স যখন ছয় তখন একদিন বাবার সঙ্গে পার্কে হাঁটার সময় একটি লিফলেট চোখে পড়ে৷ সেটাতে জিমনাস্টিক্স'এর উপর প্রশিক্ষণ সক্রান্ত তথ্য ছিল৷ ‘‘ওটা পড়ে বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আমি সেটাতে যেতে চাই কী না৷ উত্তরে সঙ্গে সঙ্গে আমি বলি অবশ্যই, কেন নয়!''
সিজার বলেন, ‘‘সেই থেকে শুরু৷ এরপর আর পিছু ফিরে তাকানো হয়নি৷ সেই থেকে আমি প্রতিদিনই জিমনাস্টিক্স নিয়ে ভাবি৷ এ বিষয়ের সব হালনাগাদ তথ্য জানার চেষ্টা করি৷''
অলিম্পিক'এর লক্ষ্য সম্পর্কে সিজার বলেন, ‘‘আমি ছয়টা ইভেন্টে অংশ নেব৷ সবকটা'তেই আমি আমার সেরাটা করার চেষ্টা করবো৷ তাতে ফলাফল যাই হবে, আমি তাতেই খুশি থাকবো৷''
জেডএইচ / ডিজি (রয়টার্স)