অর্থ পাচার : সমস্যা জানা, সমাধানের ‘আগ্রহ' কম
২৬ জানুয়ারি ২০২৪সরকার আন্তরিক হলে যে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব তার উদাহরণ আছে। ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ২০ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ফেরত আনা হয়েছিল। সেই টাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর। বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স থেকে ঘুস হিসেবে এই টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর আর কোনো টাকা দেশে ফেরত আসেনি।
সরকার টাকা আনার ব্যাপারে আন্তরিক কিনা জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "সরকার আন্তরিক হলে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তার উদাহরণ তো আমাদের আছে। কিন্তু সরকার আন্তরিক কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। আমাদের সংসদে এখন ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা হবে? উদ্যোগটা নেবেই বা কে?”
অর্থ পাচারের উপায়
১. বাণিজ্য কারসাজি : এটি অর্থ পাচারের বড় একটি মাধ্যম। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়।
২। হুন্ডি : দেশীয় আইন দ্বারা স্বীকৃত নয় এমন অপ্রাতিষ্ঠানিক পন্থায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ প্রেরণ পদ্ধতি মূলত হুন্ডি নামে পরিচিত।
৩। চোরাচালান : অর্থ পাচারের এটিও একটি মাধ্যম।
পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ
স্বাধীনতার পরের অর্থবছর থেকে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা পাচার হওয়ার এক হিসাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। গত বছরের মে মাসে বিকল্প বাজেট উপস্থাপনকালে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত এত বিপুল অর্থ পাচার হয়েছে বলে দাবি করেন। সমিতির হিসাবে ১৯৭২-৭৩ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পাচার হওয়া অর্থের ৫ শতাংশ উদ্ধার করা গেলেও সরকার ৫৯ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা পাবে। দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ উদ্ধারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে কালো টাকা ও অর্থপাচারের ওই খাত- এমন মন্তব্যও করেন এই অর্থনীতিবিদ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি (জিএফআই) বলছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। অবশ্য অনেকেই মনে করেন, পাচার করা অর্থের পরিমাণ আরও বেশি হবে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক (টিজেএন) বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বছরে কর ফাঁকি দিয়ে যে পরিমাণ অর্থ করস্বর্গখ্যাত দেশগুলোতে পাচার হয়, তার পরিমাণ ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। (এগমন্টগ্রুপ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম, যারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন-সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।) এই গ্রুপের সদস্য হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু পাচার হওয়া টাকার তথ্য পেয়ে থাকে। কারা পাচার করছে, সেসব নামও পেয়ে থাকে। এই তথ্যগুলো নিয়ে শক্ত পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। আমার মতে, অর্থপাচার রোধে একটা সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার। সেই পদক্ষেপটা আমরা দেখছি না। অথচ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে কিন্তু এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তারা দেখেন কিং ফিশারের তথ্য সংগ্রহ করে পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশে এগুলো দৃশ্যমান না।”
সবচেয়ে বেশি অর্থপাচার যেসব দেশে
ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফিনান্স অব টেরোরিজম নামের প্রথম কৌশলপত্রটি ছিল ২০১৫-২০১৯ সময়ের জন্য। আর পরেরটি ২০১৯-২১ সময়ের। সর্বশেষ কৌশলপত্রেই বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে এ রকম ১০টি দেশ বা অঞ্চলের নাম দেওয়া হয়েছে। নতুন কৌশলপত্র এখনো তৈরি করা হয়নি।
কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গবেষণা ও অবৈধ অর্থ প্রবাহের ঘটনা থেকে দেখা যাচ্ছে, ১০টি দেশ বা অঞ্চলেই বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়। এই ১০ দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কেম্যান আইল্যান্ড ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস।
অর্থপাচার রোধে আইন
বাংলাদেশে অর্থের অবৈধ ব্যবহার নিয়ে প্রথম আইনটির নাম ছিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০২ (২০০২ সালের ৭ নম্বর আইন)। এ আইনের বিধানাবলী অপর্যাপ্ত থাকায় ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ লক্ষ্যে একটি অধ্যাদেশ জারি করে (অধ্যাদেশ নম্বর ১২, ২০০৮) কিছু বিষয় যুক্ত করে। পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার অধ্যাদেশটি সংবিধানের অনুশাসন অনুযায়ী পরীক্ষা করে ২০০৯ সালে আইনে রূপান্তরিত করে। আইনটির শিরোনাম ছিল মানি লন্ডারিং আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের ৮ নম্বর আইন)। ২০০৯ সালের আইনটিও পরে বাতিল করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০১২ জারি করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ নামেই পরিচিত।
কেন ঠেকানো যাচ্ছে না অর্থপাচার?
বাংলাদেশ কেন অর্থ পাচার ঠেকাতে পারছে না? ২০১৩ জুলাই মাসে বাংলাদেশ এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হয়েছিল। এগমন্ট গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন দেশের একই ধরনের সংস্থার কাছ থেকে মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও বিদেশে পাচার করা অর্থের তথ্য পেতে পারে। কিন্তু এতে খুব লাভ হয়নি। কারণ, বাংলাদেশ পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের বৈশ্বিক কাঠামো কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস)-এ ঢোকেনি। এই কাঠামোতে ঢুকতে হলে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা জরুরি। এ জন্য আর্থিক খাতকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন ও মান অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশের সংকট এখানেই। ফলে বক্তৃতা আর বিবৃতির মধ্যেই বাংলাদেশের সব উদ্যোগ সীমাবদ্ধ। টাকা পাচার বন্ধে আসলে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়৷
অর্থপাচার ঠেকাতে না পারার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর আবুল কাশেম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আইন যেটা আছে, সেটা একেবারে অপ্রতুল না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমরা সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের দিকে তাকিয়ে থাকি। আসলে তাদের কাজটা হচ্ছে, কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন বা টাকা পাচারের তথ্য পেলে সেটার অনুসন্ধান করা। তারপর তারা যে রিপোর্ট দেয় সেটা ধরে দুদক বা সিআইডি কাজ করে।” তাহলে পাচার ঠেকানোর দায়িত্ব কার? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু তারা সেটা সঠিকভাবে করছে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।”
রপ্তানির আড়ালে ৮২১ কোটি টাকা পাচার?
তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে ৩৩টি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের ৮২১ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। দেশের সবচেয়ে বড় অর্থপাচার কেলেঙ্কারির অন্যতম এই ঘটনা কিছুদিন আগে উদ্ঘাটন হলেও এসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান ১৩ হাজার ৮১৭টি চালানে ৯৩৩ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করলেও দেশে এনেছে মাত্র ১১১ কোটি টাকা। বাকি ৮২১ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়া, ক্যানাডাসহ ২৫টি দেশে পাচার করতে ভুয়া রপ্তানি নথি ব্যবহার করেছে প্রতারকচক্র। এসব পণ্য রপ্তানি করতে পণ্যের প্রকৃত দামের চেয়ে অন্তত ১০ গুণ কম মূল্য দেখানোর পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যকে ‘নমুনা' পণ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। নমুনা পণ্য হিসেবে দেখানোর কারণে এসব পণ্যের বিপরীতে দেশে কোনো টাকা আসেনি।
হুন্ডির মাধ্যমে বছরে পাচার ৭৫ হাজার কোটি!
মোবাইলে ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। ২০২২ সালে এই তথ্য তুলে ধরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকিং চ্যানেল বহির্ভূত অবৈধভাবে মোবাইল ব্যাংকিং হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায়, দেশের প্রবাসী আয়ের তুলনামূলক কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে। হুন্ডি বন্ধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বন্ধ করা যাচ্ছে না। উল্টো দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় দেশে ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণ তদন্ত করতে গিয়ে এই পাচারকারী চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি।
দেশের অর্থনীতির ঝুঁকি মোকাবিলায় ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে সিআইডি। সিআইডির ডিআইজি (অর্গ্যানাইজ ক্রাইম) কুসুম দেওয়ান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। অন্তত দু'টি দেশ থেকে কিছু টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করি, শিগগিরই আমরা সফল হবো। পাশাপাশি পাচার চক্রের বিরুদ্ধেও আমাদের বেশ কিছু তদন্ত হবে।”
ব্যাংকের টাকা লোপাট প্রসঙ্গে সিপিডি
২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১৯টি ব্যাংকে ২৪টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি। ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো নিয়ে ১৫ বছরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই হিসাব দিয়েছে সংস্থাটি। গত ডিসেম্বরে সিপিডি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
সিপিডি বলছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায়। গত ১৫ বছরে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ২৪টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
সিপিডির হিসাবে, রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালি ব্যাংকের হলমার্ক গ্রুপ নিয়ে গেছে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। জনতা, প্রাইম, যমুনা, শাহজালাল ও প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপ নিয়ে গেছে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। বেসিক ব্যাংক থেকে ২০১৫ সালে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় ১২০ জনের বিরুদ্ধে ৬০টি মামলা করেছে। এমন আরও ৯টি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন, এই টাকার বড় একটা অংশ পাচার হয়েছে।
পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে যে উদ্যোগ দরকার, সরকার তা নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, "উদ্যোগ যে নেওয়া হচ্ছে না, সেটা তো আমরা দেখছি। উদ্যোগের জন্য দরকার নীতি সংস্কার। টাকার যে বিনিময় হার সেটা কোনোভাবেই পাচার রোধের জন্য সহায়ক নয়। পাশাপাশি টাকা দেশে আনার জন্যও সহায়ক না। এছাড়া এটার জন্য যে প্রশাসনিক সক্ষমতা দরকার, সেটাও ঘাটতি আছে। এর কারণ হলো এটা করার জন্য যে রাজনৈতিক উৎসাহ বা প্রেরণা দরকার সেটা দেশে নেই। রাজনৈতিক দৃঢ়তা না থাকায় বাদবাকী কাজগুলোও আমরা দেখছি না।”