‘অবিলম্বে সুন্দরবনে নৌরুট বন্ধের দাবি জানাই’
১১ ডিসেম্বর ২০১৪সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি তেল ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই শ্বাসমূলীয় বনের গাছপালা, ডলফিন, মাছ ও বন্য প্রাণীর জন্য এক মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷
সাংবাদিক যুবায়ের আহমেদ তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন,‘‘গাল্ফ অফ মেক্সিকোতে যদি ৪২ লাখ ব্যারেল (৫০ কোটি লিটার) তেল ছড়িয়ে পড়ার দায়ে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামকে ১৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়, তাহলে সুন্দরবনের শেলা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল ছড়িয়ে পড়ার দায়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন'শ কোটি টাকা জরিমানা করা উচিত দোষীদের৷ কনটেক্সট হিসেব করলে জল আর জলজ প্রাণীর হিসেবটাই এসেছে এখানে৷ কিন্তু এই তেলের বিষাক্ত ছোবলের সুদূরপ্রসারী ক্ষতির হিসেব আদৌ কেউ করবে? মনে হচ্ছে, সুন্দরবনের শেষ না দেখে আমাদের শান্তি হবে না৷ অবিলম্বে এই নৌরুট বন্ধের দাবি জানাই৷''
টুইটারে আলোকচিত্রী মেইল কিম্প এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ছে, এখনো পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেই৷
সামিয়া সেলিম লিখেছেন, সুন্দরবনের যে অংশটি ডলফিন ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে তেল৷
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন তেল ছড়িয়ে পড়ছে: অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি৷
এছাড়া ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে তারা৷
আরিফ রেজা মাহমুদ ব্যঙ্গ করে লিখেছেন,‘‘সুন্দরবনকে ডিজিটাল বন বানাইতে হইবে৷ এর জন্য তেল গিলিয়ে পশুপাখিদিগের ডিজিটাল প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈয়ার করিতে হইবে৷ বিদ্যুত কেন্দ্র বানাইয়া সুন্দরবনকে আমিত শক্তির অধিকারী করিতে হইবে৷ ২০২১ সাল নাগাদ সুন্দরবনে ডিজিটাল উৎসব সফল করিতে জাতি যে বদ্ধপরিকর৷''
লস্কর নিয়াজ লিখেছেন,‘‘তেল ছড়িয়ে পড়েছে সুন্দরবনে৷ কিন্তু সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে, এটা যেন আর দশটা স্বাভাবিক ঘটনার মতোই একটা ঘটনা৷ কক্সবাজায় প্রায় শেষ, বাকি ছিল সুন্দরবন৷''
সম্রাট টুইটারে লিখেছেন, সুন্দরবন গভীর সংকটে, পরিবেশ বাঁচাও৷
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কো থেকে আশনা চৌধুরী প্রশ্ন রেখেছেন, এই ঘটনার জন্য দায়ী কে?
প্রথম আলো, ইত্তেফাক'সহ প্রথম সারির দৈনিকগুলো এই বিপর্যয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন ছেপেছে৷
পলাশ দত্ত একটি খবর শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হচ্ছে ৫৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো ট্যাংকারটি৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ