সমঝোতা
৪ আগস্ট ২০১২এরপর সুদান আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতার কথা স্বীকার করেছে৷ ফলে ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হলো৷
গত বছরের জুলাই মাসে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান তার যাত্রা শুরু করে৷ এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে তেল ছাড়াও সীমান্ত এলাকা নিয়েও বিরোধ চলে আসছিলো৷ তবে তেল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ লাগার উপক্রম হয়ে যায়৷ উল্লেখ্য, গোটা সুদানের খনিজ তেলের শতকরা ৭৫ ভাগই দক্ষিণ সুদানে৷ তেল সমৃদ্ধ দক্ষিণ সুদানের শতকরা ৯৮ ভাগ রাজস্ব আয় আসে এই খনিজ তেলের অর্থ থেকে৷ তবে এই তেল রপ্তানির জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় সুদানের ওপর৷ সুদানের পাইপলাইন আর বন্দর ব্যবহার করে এই তেল রপ্তানি করে দক্ষিণ সুদান৷ আর এই তেল নিয়েই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে৷
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হঠাৎ করে তেল উৎপাদন বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ সুদান৷ তারা অভিযোগ করে সুদান কর্তৃপক্ষ পাইপলাইন থেকে তাদের তেল চুরি করছে৷ অন্যদিকে সুদানও পাইপলাইনে আটকে থাকা ৮১ কোটি ডলারের তেল জব্দ করে৷ তাদের পাল্টা অভিযোগ, দক্ষিণ সুদানে তাদের বকেয়া শোধ করেনি৷ এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বাধার উপক্রম হয়৷
এই অবস্থাতে জাতিসংঘ আর আফ্রিকান ইউনিয়ন মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসে৷ গত মে মাসে জাতিসংঘ দুই দেশকে নির্দেশ দেয় তিন মাসের মধ্যে একটি বোঝাপড়ায় আসার জন্য৷ গত ২ আগস্ট সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিলো৷ তবে আফ্রিকান ইউনিয়ন সেই সময়সীমা ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে৷ আর অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছে৷
শনিবার সেই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির কথা জানালেন মধ্যস্থতাকারী থাবো এমবেকি৷ তিনি জানান, উভয় পক্ষ আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে একটি সমঝোতায় এসেছে৷ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়৷ সেখানে উভয় পক্ষই তেলের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে৷ তবে কতমূল্যে এই সমঝোতা হয়েছে সেটি বলা হয়নি৷ এদিকে সুদানের প্রতিনিধি মুতরিফ সিদ্দিক জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুর সুরাহা হওয়ার পর তেল নিয়ে এই সমঝোতার বাস্তবায়ন শুরু হবে৷
আরআই/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)