অবশেষে গ্রেপ্তার সাইফ আলি খানের আক্রমণকারী
২০ জানুয়ারি ২০২৫থানের হীরানন্দানি এস্টেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে আক্রান্ত হন সাইফ আলি খান। তাকে ছুরি দিয়ে বারবার আঘাত করে দুষ্কৃতী পালায়। তারপর তিনদিন ধরে মুম্বই পুলিশের ৩০টি দল বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে আক্রমণকারীর খোঁজ করে।
সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজের ছবি দেখে আক্রমণকারীকে চিহ্নিত করে পুলিশ। প্রথমে ভিডিও ফুটেজের ছবির সঙ্গে মিল আছে এমন দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। তারপর তারা জানায়, হীরানন্দানি এস্টেট থেকে আসল অপরাধী ধরা পড়েছে। ওই এস্টেটে শ্রমিকদের শিবির থেকে শরিফুল ধরা পড়ে।
পুলিশ আসার খবর পেয়ে সে একটি নির্মাণস্থলের কাছে কাঁটাঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল।
পুলিশের দাবি, শরিফুল বাংলাদেশি
মুম্বই পুলিশ দাবি করেছে, শরিফুল বাংলাদেশের ঝালকাঠির বাসিন্দা। সে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পুলিশকে সে কোনো বৈধ কাগজপত্র দিতে পারেনি। প্রথমে সে দাবি করেছিল, তার নাম বিজয় দাস। এই নামেই সে দুইটি জায়গায় কিছুদিন কাজ করেছিল।
আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে, চুরি করার জন্যই সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছিল শরিফুল। তবে এর পিছনে কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত আছে কিনা, তা তারা তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত বাংলাদেশে পালাবার চেষ্টায় ছিল।
আদালত শরিফুলকে পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, অভিযুক্ত তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তবে সে যে সাইফ আলি খানের ফ্ল্য়াটে ঢুকছে, সেটা সে জানতো না বলে জানিয়েছে। শরিফুল ১৪ জানুয়ারি শাহরুখ খানের বাড়িও ঘুরে দেখেছিল। কিন্তু সেখানে খুব বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে সে আর ঢোকার চেষ্টা করেনি।
অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি
শরিফুলের আইনজীবী সন্দীপ শিখানে বার্তাসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ''শরিফুল যে বাংলাদেশি এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। পুলিশ বলছে, শরিফুল ছয়মাস আগে এসেছিল। এটা ঠিক নয়। শরিফুল সাত বছরের বেশি সময় ধরে মুম্বইতে আছে। তার পরিবার ভারতে থাকে। পুলিশ যা বলছে তা পুরোপুরি ৪৩এ ধারার বিরোধী। পুলিশ ঠিক করে তদন্ত করেনি।''
সন্দীপ বলেছেন, ''আদালত পুলিশকে পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে।''
শরিফুলের আরেক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি এএনআই-কে বলেছেন, ''পুলিশ যে কারণ দেখিয়ে শরিফুলকে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল, তা যথেষ্ট নয়। অভিযুক্তের সমর্থনে আমরা বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশ এমন কোনো নথি দেখাতে পারেনি, যাতে প্রমাণ হয় সে বাংলাদেশি।''
উপ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি
মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেছেন, অভিযুক্ত তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তবে সে যে সাইফ আলি খানের ফ্ল্য়াটে ঢুকছে, সেটা সে জানতো না বলে জানিয়েছে।
সাইফ ভালো আছেন
সাইফ এখন ভালো আছেন। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)