1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাভারত

অবশেষে আরজি কর মামলার রায়

১৮ জানুয়ারি ২০২৫

আরজি করে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পাঁচ মাস নয়দিন পর আজ(শনিবার, ১৮ জানুয়ারি) রায় দেবে শিয়ালদহ আদালত।

https://p.dw.com/p/4pJPR
কলকাতার শিয়ালদহ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত।
শিযালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বান দাস আরজি কর মামলার রায় দেবেন। ছবি: Satyajit Shaw/DW

বিচারক অনির্বান দাস ওই মামলার রায় দেবেন। এই মামলায় সিভিক ভল্যান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার কী শাস্তি হয়, সেটা জানা যাবে শনিবার দুপুরে।

তবে শুক্রবার ওই নারী চিকিৎসকের বাবা বলেছেন, ''অনেক প্রশ্নেরই তো উত্তর পেলাম না। বহু সত্য সামনে আসেনি। আমরা তাই খুশি নই। এরপর যদি কেউ বলেন, বিচার পাইয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা তার মুখোমুখি দাঁড়াব।''

২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমানির রুম থেকে নারী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর কলকাতা পুলিশ সিভিক ভল্যান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি ছিল, সঞ্জয়ই হত্যাকারী।

শনিবার সকাল থেকে শিয়ালদহ আদালতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আরজি করে নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে রায় দেবে শিয়ালদহ আদালত। ছবি: Satyajit Shaw/DW

কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ ওঠে। দাবি করা হয়, পুলিশ পরিবারকে প্রথমে জানিয়েছিল, নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। সকাল সাড়ে নয়টায় দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু পুলিশ মামলা করে রাত পৌনে বারোটা নাগাদ।

এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে একটি মামলা শুরু করে।

শুরু হয় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। সাধারণ মানুষ তাতে সামিল হন। আরজি করের অধ্যক্ষ ও সুপারকে সরানো হয়। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন জামিনে মুক্ত।

এরপর কলকাতায় রাতদখলের আন্দোলন হয়, আরজি করের ঘটনায় ন্যায় চেয়ে সাধারণ মানুষ পথে নামেন। দিনের পর দিন আন্দোলন হয়।

শনিবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ আদালতের কাছে উৎসাহী মানুষ ভিড় জমান।
আরজি কর-কাণ্ডের রায় নিয়ে মানুষের উৎসাহ প্রবল। ছবি: Satyajit Shaw/DW

সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পর বিচার শুরু হয়। সেই বিচার শুরুর ৬৮ দিন পর তার রায় দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে রুদ্ধদ্বার আদালতে ৫০ জন সাক্ষীর বয়ান নেয়া হয়েছে।

জিএইচ/এসজি