1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপারেশন  'ট্রোজান শিল্ড': সারাবিশ্বে আটক ৮০০

৮ জুন ২০২১

খুন, অবৈধ মাদক ব্যবসা, অস্ত্র চোরাচালানের আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রগুলোকে ধরতে অপারেশন ট্রোজান শিল্ড নামের বিশেষ এক অভিযানে সারাবিশ্বে আটশ জনকে আটক করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3uaZv
Niederlande Europol-Pressekonferenz zur organisierten Kriminalität
ছবি: Jerry Lampen/ANP/picture alliance

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ অভিযানে যুক্ত ছিল।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক চক্রগুলোর উপর নজরদারি চালাতে অ্যানোম নামে একটি ডিজিটাল অ্যাপ চালু করে তারা। গত ১৮ মাস ধরে এমন অপারেশন পরিচালনা করে সফল হয় বলে দাবি তাদের।

আন্তর্জাতিক সমন্বয়ে শুরু করা এমন অপারেশনের সফলতা ও সম্ভাব্য ব্যবহার বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউরোপোল এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে  অ্যানম প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন অভিযানে তারা সফলতা পেয়েছে।

''আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপরাধ দমনে আমরা যে সফলতা পেয়েছি তা অসাধারণ,'' বলেন ইউরোপোলের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ইয়েন-ফিলিপ লেকোফে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর কেলভিন শিভারস বলেন, ''অপারেশন ট্রোজান শিল্ড-এর সফলতার পেছনে রয়েছে উদ্ভাবনী শক্তি, আন্তরিক চেষ্টা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সহযোগিতা।

অপারেশনে যা পাওয়া গেল

১৮ মাস ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালানো অভিযানে ছয় টন কোকেইন, পাঁচ টন মারিজুয়ানা, দুই টন ম্যাথঅ্যামফেটামিন, দুইশ ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৫টি বিলাসবহুল গাড়ি ও একশ ৪৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

অ্যানোম অ্যাপের মাধ্যমে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রায় ২৭ মিলিয়ন এনক্রিপটেড মেসেজ যাচাইবাছাই করেছে। আর এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের সাতশ" স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।  এসময় আটশ জনকে আটক করেছে বলে জানানো হয়।

এদিকে, ফ্রাঙ্কফুর্টে জার্মানির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, বিশ্বব্যাপী চলা এ অভিযানের অংশ হিসেবে দেশটিতে প্রায় ১৫০টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭০ জনকে আটক করা হয়

অপারেশনে যুক্ত যেসব দেশ

এ অপারেশনে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপোল, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড,  নেদ্যারল্যান্ডস ও সুইডিশ পুলিশসহ মোট ১৬টি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, ইউরোপোল নেদারল্যান্ডস ও সুইডিশ পুলিশ অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়।

অ্যানোম নামেন ডিজিটাল অ্যাপটি ব্যবহার কে সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের বিভিন্ন সময়ে পাঠানো বার্তা যাচাইবাছাই করতে সক্ষম হয় এবং সেই অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে।

আরআর/কেএম (রয়টার্স, এপি, এএফপি ডিপিএসা)