অন্তরঙ্গে সবুজ সংসার
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১বাংলাদেশের বহুমানিত কবি রফিক আজাদের একটি কবিতার শিরোনাম – অন্তরঙ্গে সবুজ সংসার৷ তাঁর সবুজ সংসারে যুদ্ধ নয়, রাজনীতি নয়, হিংসা-দ্বেষ নয়, ক্ষীয়মাণ মূল্যবোধ নয়, সভ্যতার সংকট নয়৷ থাকবে চাষাবাদ, কৃষি থেকে শুরু করে পাখপাখালি এমন কী শামুক, গুগলিও৷ আরো কী থাকবে, লিখছেন কবি –
বিস্তীর্ণ প্রেইরি নয় – আপনার সবুজে
পরম নিশ্চিন্তে চরে নীলগাই,যুথবদ্ধ মেঘ,
নিরীহ হরিণগুচ্ছ, নৃত্যপর জেব্রা ও জিরাফ৷
এই মনোবাসনা কেবল কবিরই নয়, মনে-মনে পোষণ করে সব মানুষই৷ অন্তরঙ্গে যে সবুজ সংসার, ওই সংসারে খাদ্যাখাদ্যের বাছবিচারও আছে৷ দুনিয়াজুড়ে আজ খাদ্য সংকট৷ ভেজালের ছড়াছড়ি৷ যেমন, জার্মানির মতো দেশেও মুরগির মাংস ও ডিমে মারাত্মক জৈব রাসায়নিক পদার্থ ডাইঅক্সিন দূষিত৷ বছর কয়েক আগে ইউরোপে গোমাংস ও দুধ নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনা মানুষের মনে এখনো জাগ্রত৷ ভেজাল খাদ্যে কেবল শরীরস্বাস্থ্য নয়, মনমানসিকতায়ও ধস তৈরি করে৷
শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবেন তাই সয় – এই প্রবাদ মানতে নারাজ অনেকেই৷ কেননা, খাদ্যে কেমিক্যাল মিশ্রিত৷ তো, নানাবিধ রোগেরও উৎপত্তি এই খাদ্যগ্রহণে৷ কে আর রোগব্যাধি নিয়ে বাঁচতে চায়! সবাই চায় সুস্থ জীবন৷ সবাই চায় পুষ্টিকর খাদ্য৷
সম্প্রতি শেষ হলো বার্লিন আন্তর্জাতিক সবুজ সপ্তাহ তথা কৃষিমেলা৷ এই মেলায় খাদকদের একটিই বুলি, ‘আমরা চাই ভেজালমুক্ত অরাসায়নিক খাদ্য'৷ উল্লেখ্য, উন্নয়নশীল দেশ থেকে জার্মানি ২৫ ভাগ অরাসায়নিক খাদ্য, পানীয় আমদানি করে প্রতি বছর৷ ইউরোপিয় ইউনিয়ন ৩০ ভাগ খাদ্য-শষ্যাদি উৎপাদন করছে৷
প্রত্যেকের অন্তরঙ্গেই আছে সবু সংসার৷ ক্রমবৃদ্ধি সব দেশেই৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন