অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের ঝুঁকিপূর্ণ জীবন
চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৩ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী মারা গেছেন৷ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে৷
ভিক্টোরিয়া মারিনোভা, বুলগেরিয়া
৩০ বছর বয়সি এই টিভি উপস্থাপক সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের নিয়ে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত করছিলেন ঐ সাংবাদিকরা৷ সম্প্রতি মারিনোভাকে হত্যা করা হয়েছে৷
জামাল খাশগজি, সৌদি আরব
আল-আরব নিউজ চ্যানেলের সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট খাশগজি তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ৷ নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি সৌদি কর্তৃপক্ষ তাঁকে মেরে ফেলতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছিলেন৷
ইয়ান কুচিয়াক, স্লোভাকিয়া
সরকারের সঙ্গে ইটালির মাফিয়াদের সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করছিলেন স্লোভাকিয়ার এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক৷ গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে তাঁর বান্ধবীসহ হত্যা করা হয়৷ সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে৷ কুচিয়াক হত্যার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী৷
মারিয়ো গোমেজ, মেক্সিকো
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে কাজ শুরুর পর থেকেই হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন গোমেজ৷ সেপ্টেম্বরে নিজের ঘর থেকে বের হওয়ার পর সশস্ত্রদের গুলিতে প্রাণ হারান ৩৫ বছর বয়সি এই সাংবাদিক৷ চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মেক্সিকোয় ১০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে৷
সামিম ফারামারাজ ও রমিজ আহমাদি, আফগানিস্তান
সেপ্টেম্বরে কাবুলে একটি বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে লাইভ করছিলেন সামিম ফারামারাজ৷ ক্যামেরায় ছিলেন রমিজ আহমাদি৷ লাইভ শেষ করছিলেন এমন সময় কয়েক মিটার দূরে আরেকটি বিস্ফোরণ হলে প্রাণ হারান এই দুই গণমাধ্যমকর্মী৷
মার্লোন ডি কারভালু আরায়ুজু, ব্রাজিল
দেশটির বাহিয়া আঞ্চলিক প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের দুর্নীতি প্রকাশ করেছিলেন এই সাংবাদিক৷ গত আগস্টের এক ভোরে তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র কয়েকজন ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন৷
সুজাত বুখারি, কাশ্মীর
জুনে শ্রীনগরে তাঁর সংবাদপত্র অফিসের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইতেন ডয়চে ভেলের এই কন্ট্রিবিউটর৷
দ্য ক্যাপিটাল, যুক্তরাষ্ট্র
গত জুনে এই সংবাদপত্র অফিসে গুলি করে সম্পাদক ওয়েন্ডি উইন্টার্স, তাঁর সহকারী রবার্ট হিয়াসেন, লেখক জেরাল্ড ফিশম্যান, সাংবাদিক জন ম্যাকনামারা ও বিক্রয় সহকারী রেবেকা স্মিথকে হত্যা করা হয়৷ হত্যার দায়ে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই ব্যক্তি ঐ পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন৷