1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ডার্কনেট’

ইয়র্গ ব্রুন্সমান / জেডএইচ১৯ জুলাই ২০১৩

ইন্টারনেটে নিজের তথ্য গোপন রেখে যোগাযোগ করা যায়, এমন কথা বিশ্বাস করার মতো লোকের সংখ্যা দিনদিন কমছে৷ সাম্প্রতিক প্রিজম কেলেঙ্কারির পর বরং বিশ্বাস না করা লোকের সংখ্যাই হয়ত এখন বেশি৷

https://p.dw.com/p/19AJo
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic

কিন্তু জানেন কি, ইন্টারনেটের বিকল্প হিসেবে এখন অনেকে ‘ডার্কনেট' ব্যবহার করছেন? ডার্কনেটের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ সম্ভব৷ প্রযুক্তিগত কারণে এখনো সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করতে পারেন না৷ কেননা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে যে আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে শনাক্ত করা যায়, ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সেই অ্যাড্রেসটাই নেই!

Symbolbild NSA Spähaffäre
ইন্টারনেটে নিজের তথ্য গোপন রেখে যোগাযোগ করা যায়, এমন কথা বিশ্বাস করার মতো লোকের সংখ্যা দিনদিন কমছে (ফাইল ফটো)ছবি: Reuters

ডার্ক নেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ডার্কনেট৷ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটা হলো অন্ধকার এক নেটওয়ার্ক৷ অন্ধকার জগতের লোকজনই এটা বেশি ব্যবহার করে থাকেন৷ অবৈধ মাদক ও অস্ত্র কেনাবেচার কাজই বেশি হয়ে থাকে ডার্কনেটের মাধ্যমে৷ এর ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখেই নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারছেন৷

যেভাবে কাজ করে ডার্কনেট

সবচেয়ে আলোচিত ডার্কনেটের নাম ‘ফ্রিনেট'৷ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়৷ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর নিজের কম্পিউটারটিই ডার্কনেটের একটি সার্ভারে পরিণত হয়৷ এরপর তারা অন্য ডার্কনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়৷ এভাবে একজন আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ কারো আসল পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারেনা৷

তবে শুধু যে অবৈধ ব্যবসায়ীরাই ডার্কনেটের সহায়তা নিচ্ছেন তা নয়, বিভিন্ন দেশের ভিন্ন মতাবলম্বীরাও এই ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ মিশরে আরব বসন্তের সময়ও ডার্কনেটের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য