ধর্মঘট শেষ
১৩ জুলাই ২০১২এই ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়েছে৷ সাধারণ যাত্রীরা শিকার হয়েছেন চরম ভোগান্তির৷ পুলিশের আইজি বলেছেন, হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভাররা পুলিশি হয়রানি বন্ধ, মালিকের জমা টাকার পরিমাণ কমানোসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট শুরু করেন বুধবার সকাল থেকে৷ আর শেষ হয়েছে আজ সকালে৷ ধর্মঘটের শেষ দিনে পুলিশ অটোরিকশার ড্রাইভারদের প্রতি ছিল মারমুখী৷ তারা ঢাকায় সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের আটক করে৷ তবে পুলিশ দাবি করেছে ড্রাইভাররা সড়ক অবরোধ করলে তারা সড়ক অবরোধমুক্ত করেন৷
আর এই ধর্মঘটের কারণে যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে৷ অটোরিকশা না থাকায় পাবালিক বাসের ওপর চাপ পড়ে৷ ফলে পরিস্থিতি আরো চরমে ওঠে৷
একই সময়ে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভাররা ঢাকাসহ সারা দেশে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট পালন করেন৷ এতে সারাদেশে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়৷ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক শ্রমিক সমিতির সভাপতি রুস্তম আলি জানান, পুলিশি হয়রানি বন্ধ এবং মহাসড়কে নিরাপত্তার দাবিতে তারা এই ধর্মঘট পালন করেছেন৷ এরপরও দাবি পূরণ না হলে ঈদের পরে তারা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবেন৷
এদিকে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, পুলিশি হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে৷ তাহলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন৷
আর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এইসব সমস্যা নিয়ে বিআরটিএ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেবে৷ আর ভুয়া ড্রাইভার এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক